শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারে নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি

অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারে নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি

লালমনিরহাটে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারে নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি।

 

জানা যায়, কয়েক বছর জৈব সার মাটিতে ব্যবহার না করে শুধুমাত্র অজৈব সার ব্যবহার করলে জমি তার পানি ধারণ ক্ষমতা ও পুষ্টি উপাদান বিনিময় ক্ষমতা হারায়। এছাড়া হিউমাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে জমির উপকারী জীবাণুর পরিমাণ হ্রাস পেয়ে পাথুরে জমিতে পরিণত হয়। যা চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

 

জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কম হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। যে হারে ফসল ফলানো হচ্ছে সে হারে জমিতে জৈব পদার্থ যোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফসলের অবশিষ্ট অংশ মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করে। কিন্তু কৃষি শিক্ষার অভাবে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ জেলার কৃষকেরা জমিতে সুষম সার ব্যবহার করে না।

 

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের আশায় তার জমিতে বেশি মাত্রায় নাইট্রোজেন সার (ইউরিয়া) ব্যবহার করছে। এতে অণুজৈবিক কার্যকারিতা বেড়ে যায়। ফলে অণুজীবগুলো জৈব মধ্যস্থিত নাইট্রোজেন খেয়ে ফেলে এবং মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে যায়।

 

আরও জানা যায়, প্রতি ৩বছর পর পর জমিতে সবুজ সার উৎপাদনকারী ফসল জমিতে রোপণ করতে হবে। ওই ফসলের অবশিষ্টাংশ মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির আগাছা চাষ দিয়ে মাটির সাথে মিশাতে হবে। গবাদি পশুর মলমূত্র সংরক্ষণ ও বিভিন্ন আবর্জনা পচন দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরী করে তা মাটিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রত্যেক চাষিকে মাটি পরীক্ষা করে সার ব্যবহার করতে হবে। ফসলের জন্য যতোটুকু চাষ দেয়া প্রয়োজন ঠিক ততোটুকু চাষ দিতে হবে। এতে উৎপাদন খরচ যেমন কম হবে তেমনি মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি দিন সংরক্ষিত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone